গর্ভবতী মা আপনার চেম্বারে বমিবমি ভাব নিয়ে আসলে কি উপদেশ দিবেন !!
Mediverse Blog
Catagories:
Academic articles,
Gynae & OBS
Writer : Dr. Tania Hafiz
গর্ভকালীন সময়ে বমি/ বমিবমি ভাব/ মাথাঘোরানো/ খাবারে অরুচি/ খাবারে গন্ধগন্ধ লাগা ।
এগুলো খুবই Common সমস্যা। একজন Early pregnancy ( 1st trimester) গর্ভবতী মা আপনার চেম্বারে চেকআপের জন্য আসবেন আর এর কোনো একটা সমস্যা থাকবেনা এটা চিন্তাই করা যায় না। আর যদি হয় Primi Gravida তাহলেতো কথায়ই নাই।
ঔষধতো দিতেই হবে কিন্তুু তার আগে রোগীকে কিছু পরামর্শ দিবেন, দেখা যায় এতেই অনেকটা বমির প্রকোপ কমে যায়। আমি আমার রোগীদের এই উপদেশগুলো দেই এবং আমি অনেক ভালো Feedback ও পাই।
তাই আজ আপনাদের সাথে বিষয়টি আলোচনা করলাম।
🤰১। গর্ভকালীন সময়ে হরমোনের পরিবর্তন হয়ে থাকে যা শরীরে নানা ধরনের পরিবর্তন করে থাকে যার মধ্যে বমি/ বমিবমি ভাব / মাথা ঘুরানো/ খাবারে অরুচি / গন্ধগন্ধ লাগা। Hormone like HCG, Progesterone, Estrogen etc বেড়ে যাওয়ার জন্য এমন বমি/ বমিবমি ভাব/ মাথাঘুরানো, অরুচি হয়ে থাকে।
🤰২। সকালে ঘুম থেকে উঠেই বিছানা থেকে না উঠে শোয়া অবস্থায় একটু হাত-পা নাড়াচাড়া করা, মানে হালকা ব্যায়াম করা।
🤰৩। রাতেই ব্রাশ করে ঘুমানো, সকালে উঠে শুধু কুলি করে মুখ ধুয়া। কারন অনেকসময় সকালে ব্রাশ করতে যেয়ে টুথপেষ্টের গন্ধে অনেকেই বমি করেন অথবা বমিবমি ভাব হয়।
🤰৪। সকালে সাধারণত শুকনো খাবার খাওয়া উচিত যেমনঃ বিস্কুট, টোস্ট, মুড়ি। এতে বমিভাব কমে। তার ১-২ঘন্টা পর সকালের নাস্তা করবেন।
🤰৫। খাবার আগে ও খেতে বসে অতিরিক্ত পানি খাবেন না, এতে বমি/ বমিবমি ভাব হয়।
🤰৬। সবসময় বাসায় তৈরি খাবার খাওয়ার চেষ্টা করতে হবে। গর্ভবতী যদি চাকুরীজীবি হোন তাহলে বাসা থেকে খাবার নিয়ে যেতে হবে।
🤰৭। অতিরিক্ত তৈলাক্ত, ভাজাপোড়া, মশলাদার খাবার খাবেন না। এধরনের খাবার এসিডিটি করে বমির উপদ্রব করে।
🤰৮। একবারে বেশি পরিমান খাবার না খেয়ে ২-২.৫ঘন্টা পরপর অল্পঅল্প করে খাবার খাবেন এতে করে আপনার আগের খাবারও হজম হয়ে যায় আর এই খাবারে আপনার পেটও ভরবে।
🤰৯। খালিপেটে টক জাতীয় ফলগুলো খাবেন না, এতে এসিডিটি হয়ে বমি/ বমিবমি ভাব হতে পারে। তাই খাবারের পর বা মধ্যে টকফল খেতে পারেন।
🤰১০। অনেকে বাহিরের খাবার পছন্দ করে থাকেন। তো দেখা যায় বাহিরের খাবারের মাধ্যমে টাইফয়েড, জন্ডিসের জীবানু মায়ের শরীরে এসে সেখান থেকেও বমি হতে পারে তাই মাকে বাহিরের খাবার এড়িয়ে চলতে হবে।
🤰১১। বাসি খাবার খাওয়া যাবেনা। এর থেকে বমি, ডায়ারিয়া, পেটেব্যাথা হতে পরে। পুষ্টিকর, ফ্রেশ খাবার খেতে হবে।
🤰১২। অনেকসময় জার্নি করার ফলে অনেক মায়েদের Motion sickness এর ফলে বমি হয়ে থাকে। সুতরাং এইধরনের সমস্যা হলে কোথাও যাওয়ার আগে বমির ঔষধ খেয়ে নিবেন।
🤰১৩। অতিরিক্ত গন্ধযুক্ত খাবার, এনার্জি ডিংকস এগুলো খাবার থেকে বিরত থাকতে হবে।
🤰১৪। রাতে খাবারের সাথেসাথে অনেকেই ভরাপেটেই ঘুমাতে যান, তখন তার অস্বস্তিভাব হয়, এসিডিটি হয় তারপর বমি হয়। তাই রাতের খাবারের অন্তত ১-২ঘন্টা পরে ঘুমাতে যেতে হবে।
🤰১৫। অনেকসময় দেখা যায় ইলেক্ট্রোলাইট ইমব্যালেন্সের জন্য বমি হয়ে থাকে যা ঔষধের খেলেও কমেনা, তখন ব্লাড টেস্ট করে সেই অনুযায়ী চিকিৎসা করতে হবে।
🤰১৬। বমি/ মাথা ঘুরানো/ বমিভাব ইত্যাদি এরজন্য ঔষধ যেমনঃ Meclizine Hcl / Meclizine+Pyridoxine / Doxylamine+Pyridoxine / Ondansetrone/ Palonosteron etc etc. মুখে খেয়ে না রাখতে পারলে মানে অতিরিক্ত বমি হলে ইনজেকশনও দেয়া হয়। অনেকসময় আবার NPO রেখে hospital admission advice করা হয়।
Hyperemesis Gravidarum more seen in Twin pregnancy, Molar Pregnancy Because HCG Hormone Increase more.
রোগীকে উপরের কাউন্সিলিং এর সাথেসাথে বলতে হবে যেহেতু হরমোনের পরিবর্তনের জন্য এমন হচ্ছে সুতরাং এটা কোনো রোগ নয়, চিন্তা করবেন না যে নিয়মগুলো বললাম এগুলো একটু মেনে চলবেন সাথে আমি কিছু ঔষধ লিখে দিচ্ছি এতে আপনি উপকার পাবেন।
আর এই৷ সমস্যা বেশিদিন থাকেনা প্রথম ১২-১৪সপ্তাহ পর্যন্ত এমনটা থাকে আস্তে আস্তে কমে যাবে।
Edited By : Muhammad Nahid Hassan.
Share this blog to social media:
Tags:
Advice
Food
Hyperemesis gravidarum
Meclizine
Pregnancy
Vomiting
Suggested post
No post related to the current post. Please click on 'view more' to see more posts